Science Therapy

পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব


 প্রকৃতিকে ভালোবাসা এটা মনের গভীর থেকে আসে। এটা চেষ্টা করে হয় না। বলা হয়, মানুষ যেহেতু লাখ লাখ বছর প্রকৃতির সঙ্গে বসবাস করে সেহেতু প্রকৃতির স্পন্দন তার দেহে, স্নায়ুতন্ত্রে রক্ত প্রবাহের মতো কাজ করে। এই প্রকৃতি যদি হারিয়ে যায়, এই গাছপালা যদি না থাকে তাহলে বৈচিত্র্য থাকবে না। বৈচিত্র্য এজন্য প্রয়োজন যে, মানুষের জনসংখ্যা এত বেড়ে চলেছে, তাদের খাদ্য জোগান, তাদের ওষুধ, চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য বহু কাজে আমাদের এ বৈচিত্র্য প্রয়োজন। বৈচিত্র্য যদি হারিয়ে যায়, জিনগুলো যদি হারিয়ে যায়, তাহলে মানুষ একদিন বিপন্ন হয়ে পড়বে। কারণ মানুষ এই বৈচিত্র্য সৃষ্টি করতে পারে না। বৈচিত্র্য সৃষ্টিকর্তার দান।
বনকে সীমিত এলাকায় সীমাবদ্ধ না রেখে সেটা সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া আবশ্যক। এরই মধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি, গ্রামাঞ্চলে জনগণ বৃক্ষরোপণে উদ্যোগী হয়েছেন এবং বৃক্ষায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তারা বিক্রয়যোগ্য বিদেশী গাছপালাই বেশি লাগান। দেশী গাছগুলো তাদের নির্বাচন থেকে বাদ পড়ে। তাতে জীববৈচিত্র্যের বিনষ্টি ঘটছে। শুধু বৃক্ষই নয়, লতাগুল্মও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমাদের দেশের বৃহৎ নিম্নাঞ্চল ও জলাভূমি এলাকায় পানিসহিষ্ণু বৃক্ষের অরণ্য গড়ে তোলা সম্ভব। সেদিকে কারও তেমন আগ্রহ নেই। সামাজিক বনায়ন প্রক্রিয়ায় কিছু গাছ লাগানো হলেও যথার্থ বন সৃষ্টির বিবেচনা নেই।
আমাদের দেশে প্রকৃতি সংরক্ষণের বিষয়টি এখনও কাগজে-কলমেই আছে। আমরা মানুষকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করেছি এবং তাতে তারা সাড়াও দিয়েছেন। বৃক্ষ প্রকৃতির একটি উপাদান মাত্র। গোড়াতেই বোঝানো উচিত ছিল আসলে শুধু বৃক্ষ নয়, গোটা ইকোসিস্টেম রক্ষা করা আবশ্যক। তাতেই আছে গোটা জীবজগৎ, ভৌত জগৎ এবং তাদের মিথস্ক্রিয়া। এখানে মানুষ একটি উপাদান মাত্র এবং তার কল্যাণের জন্যই প্রাকৃতিক ইকোসিস্টেম অত্যন্ত প্রয়োজন। অন্যথা সে নিজেও একদিন বিপন্ন হয়ে পড়বে। মানুষ বন সৃষ্টি করতে পারে না। এগুলো সৃষ্টিকর্তার দান। মানুষের যে কোনো হস্তক্ষেপ তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মানুষ বনের এ অনন্য বৈশিষ্ট্য স্বীকার করে না। করলে তার বৈষয়িক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উন্নত বিশ্ব প্রকৃতি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানার্জন সত্ত্বেও তাদের সব আদিম বন ধ্বংস করে সেখানে কৃত্রিম বনায়নের চেষ্টা করছে।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রকৃতিপাঠ ইদানীং শুরু হয়েছে। যথারীতি তা অন্যান্য পাঠ্যবস্তুর মতোই নিরস ও যান্ত্রিক। এজন্য ভালো শিক্ষকই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন উদ্বুদ্ধকারী শিক্ষকের। প্রকৃতিপ্রেমী শিক্ষক সৃষ্টি ব্যতীত এক্ষেত্রে সাফল্য কঠিন। প্রকৃতিপাঠ গ্রন্থভুক্ত থাকলে সুফলের সম্ভাবনা খুবই কম। প্রয়োজন পাঠ্যবস্তুর সঙ্গে সরাসরি প্রকৃতির সংযোগ ঘটানো। তেমন সম্ভাবনা আমাদের দেশে অসীম। আর এজন্যই বেশি বেশি গাছ লাগানো উচিত। আরেকটি জিনিস সবার মনে রাখা দরকার- এক্ষেত্রে ধর্ম-মত নির্বিশেষে সবার এগিয়ে আসা উচিত। কারণ সব ধর্মই ভালো কাজে, মানুষের কল্যাণে উৎসাহিত করেছে।
সমগ্র জগতের স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোনো কিছুই বৃথা সৃষ্টি করেননি। জগতের সব সৃষ্টিই আল্লাহর উদ্দেশ্য সাধনে সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেক সৃষ্ট বস্তু বা বিষয়ের মধ্যেও আল্লাহ অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি পৃথিবীতে সবকিছুই সঠিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ বিকাশ ঘটিয়েছি।’ (সূরা হিজর : আয়াত ১৯)। অল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে বৃক্ষ এক অনন্য সৃষ্টি। এর রয়েছে বহুমুখী গুরুত্ব বা তাৎপর্য। এখানে উল্লেখ্য, আল্লাহ মানুষকে তার সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা প্রদান করেছেন। আর জগৎ-সংসারের সবকিছুই তিনি কোনো না কোনোভাবে মানুষের কল্যাণের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। বৃক্ষ বা তৃণাদিও মানুষের কল্যাণের জন্য আবশ্যক। আল্লাহ নিজেই এর গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছেন; যেমন অল্লাহ বলেছেন- ‘যিনি সুষম বিকাশ সাধন করেন ও পথনির্দেশ করেন এবং যিনি তৃণাদি উৎপন্ন করেন।’ (সূরা আ’লা : আয়াত ৩-৪)। আল্লাহ এখানে প্রকৃতির ভারসাম্যের কথা উল্লেখ করেছেন। এ ভারসাম্য জগতের জন্য অত্যন্ত আবশ্যক। আমরা জানি, মানুষ ও বৃক্ষের মধ্যেও বিদ্যমান রয়েছে এক গভীর সম্পর্ক, পারস্পরিক নির্ভরশীলতা। বিশেষ করে মানুষ ও উদ্ভিদের পরস্পরের দেহাপোযোগী সামগ্রীর জন্য একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। মানুষ কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে (শ্বাস-প্রশ্বাসের সময়) এবং অক্সিজেন গ্রহণ করে। অন্যদিকে উদ্ভিদ অক্সিজেন ত্যাগ করে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। পৃথিবীতে বৃক্ষের পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকলে এক সময় মানুষের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হবে। এমনকি এটা মানবজীবনের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। উদ্ভিদ ও পরিবেশ বিজ্ঞানীরা এ আশঙ্কায়ই উদ্ভিদ নিধোনকে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে তুলে ধরেন এবং বৃক্ষরোপণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। পবিত্র কুরআনের উপরোক্ত উক্তিতে আমরা এ ভারসাম্যের দিকনির্দেশনাই লাভ করি। আল্লাহ আরও বলেছেন, ‘সূর্য ও চন্দ্র আবর্তন করে নির্ধারিত কক্ষপথে, তৃণ-লতা ও বৃক্ষরাজি মেনে চলে তারই বিধান। তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন ভারসাম্য।’ (সূরা আর রহমান : আয়াত ৫-৭)। বৃক্ষরাজি ও উদ্ভিদ আল্লাহর সৃষ্টির বৈচিত্র্য প্রকাশক। আল্লাহ সুনিপুণ স্রষ্টা, তিনি সৃষ্টি করেছেন বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমিই প্রচুর বারি বর্ষণ করি, অতঃপর আমি ভূমিকে প্রকৃষ্টরূপে বিদারিত করি এবং উহাতে উৎপন্ন করি শস্য, দ্রাক্ষা, শাকসবজি, জয়তুন, খেজুর এবং বহু বৃক্ষবিশিষ্ট উদ্যান।’ (সূরা আবাসা : আয়াত ২৫-৩০)। আল্লাহর কী নৈপুণ্য! একই মাটি একই পানিতেই আমরা ভিন্ন ভিন্ন উদ্ভিদ জন্মাতে দেখি, যাতে ভিন্ন ভিন্ন ফুল ও ফল ধরে। এসবই মানুষের কল্যাণের জন্যই।
আল্লাহ কোনো সৃষ্টিকেই অমর্যাদা করা উচিত নয়। তবে প্রয়োজন হলো তাকে যথার্থভাবে কাজে লাগানো। বৃক্ষরাজির পরিকল্পিত উৎপাদন ও ব্যবহারের ওপরই মানুষের বহু কল্যাণ বা উপকার নিহিত রয়েছে। তাই ইসলাম বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করে। নবী করিম (সা.) বৃক্ষরোপণের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছেন। হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যদি জানো আগামীকাল কেয়ামত, তথাপিও আজ যদি হাতে কোনো বীজ বা চারাগাছ থাকে, তা বপন করো অথবা লাগাও।’ পরিবেশের স্বাভাবিক প্রয়োজন এবং সভ্যতার বিকাশের জন্য বৃক্ষরোপণ অত্যন্ত জরুরি।
বস্তুত জগতের সব সৃষ্টিই আল্লাহর নিয়ম মেনে চলে এবং তার মহিমাকীর্তন করে। এসবের মধ্য থেকে আল্লাহ মানুষকে এক ধরনের শিক্ষাও দিতে চেয়েছেন। আল্লাহ এসবের উদাহরণ দিয়ে পবিত্র কুরআনে বলেছেন, মানুষ কি তার আদেশ মানবে না? আল্লাহর সৃষ্টি বৃক্ষরাজি আল্লাহর নিয়ম মেনে চলে এবং আল্লাহর তসবিহ পাঠ করে। বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে ওই তসবিহ পাঠের অংশীদার হয়া যায়। উপরোক্ত হাদিসে রাসূলে করিম (সা.) সেই ইঙ্গিতই প্রদান করেছেন।
মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য বৃক্ষ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বৈষয়িক প্রয়োজনেও তাই বৃক্ষরোপণ করা একান্ত দরকার। যে কোনো ফল ও ফসল উৎপন্ন হলেই তা মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। এমনকি ওই ফল বা ফসল যদি উৎপাদনকারী বা প্রকৃত মালিক নাও পায়, কেউ যদি চুরি করে নিয়ে যায় তাতেও সমাজের কারও না কারও প্রয়োজন পূর্ণ হয়। অর্থাৎ ওই ফল বা ফসল, সর্বাবস্থায়ই অর্থনৈতিকভাবে মূল্যমান। ইসলাম এ বিষয়ে মানুষকে সান্ত¡না প্রদান করেছে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যদি কোনো মুসলিম কোনো ফলের গাছ লাগায় বা বাগিচা করে অথবা ক্ষেতে কোনো শস্যের বীজ বপন করে, তা থেকে উৎপন্ন কোনো ফল মানুষ বা পশুপাখি যদি খায়, তবে ওই বৃক্ষের মালিক, বাগিচাওয়ালা বা ক্ষেতওয়ালা সদকার সওয়াব পাবে।’
ইসলামে ফল বৃক্ষরোপণ ও ফসল ফলানোকে সওয়াবের কাজ হিসেবে ‘সদকায়ে জারিয়া’ বা অবিরত দানরূপে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি যদি একটি বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করেন তাহলে ওই গাছটি যতদিন বেঁচে থাকবে এবং মানুষ ও অন্য জীবজন্তু যতদিন তার ফল বা উপকার ভোগ করতে থাকবে, ততদিন ওই ব্যক্তির আমলনামায় পুণ্যের সওয়াব লেখা হতে থাকবে। সদকায়ে জারিয়ার জন্য ফলবান বৃক্ষই বেশি উপকারী।
এ প্রসঙ্গে হজরত আবু দারদার (রা.) একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। একদা হজরত আবু দারদা (রা.) দামেস্কে একটি বৃক্ষরোপণ করেছিলেন। এমন সময় একটি লোক তার কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। সে হযরত আবু দারদাকে (রা.) অত্যন্ত মনোনিবেশ সহকারে বৃক্ষরোপণ করতে দেখে একটু অবাক হয়ে প্রশ্ন করল, আপনি রাসূলুল্লাহর (সা.) একজন প্রিয় সাহাবি হওয়া সত্ত্বেও এ কাজটি করছেন? হজরত আবু দারদা (রা.) উত্তরে বললেন, আপনি এমনটি বলবেন না। আমি রাসূলকে (সা.) বলতে শুনেছি, ‘কোনো ব্যক্তি যদি একটি বৃক্ষ চারা লাগায়, অতঃপর তা থেকে কোনো ফল মানুষ ও পাখি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে তখন তার জন্য একটি সদকা হিসেবে লেখা হয়।’ এমনকি মুসলিম সেনাবাহিনী যুদ্ধে রওনা হওয়ার সময় রাসূল (সা.)সহ পরবর্তী সব খলিফা কঠোরভাবে সৈন্যদের নির্দেশ দিতেন তারা যেন বিজিতদের কোনো গাছপালা বা শস্যক্ষেত্র ধ্বংস না করে।
বনের গাছপালা থেকে আমরা শুধু কাঠ, রাবার, ওষুধ ও ফলমূলই পাই না এগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধী দ্রব্য ও তেলও পাওয়া যায়। গাছের পরিশুদ্ধ তেল দ্বারা প্রজ্বলিত প্রদীপের সঙ্গে আল্লাহপাক তার নূরের ইঙ্গিত দিয়েছেন। মানুষ চেষ্টা-গবেষণা করলে গাছ থেকেও যে উৎকৃষ্ট ধরনের তেল আহরণ করতে পারে, এটা নিঃসন্দেহে সে তথ্যেরই উপমা বহন করে।
আল্লাহ বলেন ‘এবং আমি সৃষ্টি করি এক বৃক্ষ যা জন্মায় সিনাই পর্বতে, এতে উৎপন্ন হয় আহারকারীদের জন্য তেল ও ব্যঞ্জন।’ (সূরা মমিনুন : ২০)। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে গাছের নামে শপথ করেছেন এবং তদানুসারে সূরাটির নামকরণও করা হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন, ত্বিন (এক জাতীয় বৃক্ষ) ও জয়তুনের (জলপাই জাতীয় এক ধরনের ফল) শপথ! (সূরা আত ত্বিন : ১)। অতএব গাছপালা, বৃক্ষলতা আল্লাহ সুমহান কুদরতের অপরূপ নিদর্শন। এর মধ্যেই তিনি মানুষ ও অন্য জীবজন্তুর খাবার প্রস্তুত করে রেখেছেন এবং মানুষকে পরিশ্রম করে সেগুলো সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ইসলাম বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়েও গুরুত্ব দিতে ভুল করেনি। দুনিয়ায় একটি গাছ লাগিয়ে তার যথার্থ পরিচর্যার বিপরীতে পরকালে বেহেশতের মধ্যে অনুরূপ একটি গাছের নিশ্চয়তা পাওয়া মোমিনের জন্য অনেক সৌভাগ্যের, সন্দেহ নেই। পক্ষান্তরে অনর্থক গাছ কাটা ও বন উজাড় করাকে ইসলামে গর্হিত কাজ হিসেবে দেখা হয়।
একটি দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য সে দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগের মতো বনাঞ্চল থাকা জরুরি। তা না হলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ভারসাম্যহীন হতে বাধ্য। সেখানে আমাদের দেশে ১২ ভাগের বেশি বনাঞ্চল নেই। তাও আবার দিনে দিনে নির্বিচারে কেটে উজাড় করা হচ্ছে। তাই ইহলৌকিক কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য আমাদের ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃক্ষরোপণ ও তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.