Science Therapy

র‍্যাগিং এর দায়ে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সদ্য বহিষ্কার হওয়া প্রসঙ্গে

#র‍্যাগিং এর দায়ে সদ্য বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গে

থিয়েটার & পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের ফারহানা রহমান লিয়োনাকে র‍্যাগিং এর দায়ে
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তোয়াবা নুশরাত মিম ও একই বিভাগের শায়রা তাসনিম আনিকা কে ১ শিক্ষাবর্ষ (২সেমিস্টার) এর জন্য বহি:স্কার করা হয়েছে।



সিএসই এর আল ইমরানকে র‍্যাগিংয়ের দায়ে আরো ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
১. জাকির হোসাইন, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগ (৩ শিক্ষাবর্ষ বহিষ্কার)
২. তানবীরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগ, (২ শিক্ষাবর্ষ)
৩. মেহেদী হাসান, ইইই (২ শিক্ষাবর্ষ)

একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসাবে আমিও র‍্যাগিং এর পক্ষে না।যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে আগে থেকে কোনো সর্তকবার্তা দেয় নাই এমনকি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের আত্মপক্ষ সমর্পনের সুযোগও দেওয়া হয় নাই।ইভেন ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান স্যারের কাছেও কোনো প্রকার নোটিশ দেয় নাই।তাহলে প্রশাসনের দেওয়া সিদ্ধান্তটা কি একটু বেশি হয়ে গেল না? তারাও কি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল না?এই ছেলে মেয়ে গুলা কিছুদিন পরে হইত একটা পরিবারের হাল ধরবে,সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া প্রশাসনের এত বড় শাস্তি কতটুকু যৌক্তিক? র‍্যাগিং অপরাধ সন্দেহ নাই কিন্তু র‍্যাগিং এর জন্য কারও জীবন নষ্ট করে দেওয়া কি অপরাধ নয়?প্রশাসনের কাছে আমার একটা প্রশ্ন "শাস্তিপ্রাপ্ত সবাই কি আসলেই অভিযুক্ত?"

এমন অপরাধের বিপরীতে ২/৩ বছরের জন্য বহিষ্কার, তার মানে ছেলেমেয়ে গুলোর ছাত্রত্ব শেষ।তারা হতাশায় ভোগবে,নতুন করে নেশা ধরবে,বাসা থেকে বাবা-মা মানসিক টর্চার করবে,আশেপাশেই প্রতিবেশী যারা এতোদিন সোনার ছেলে বলতো তারাই মুখ বাকিয়ে থুথু মেরে চলে যাবে, ইত্যাদি ইত্যাদি নানান সমস্যার ফলস্বরূপ তারা একটা গভীর ডিপ্রেশনের ভিতর দিয়ে যাবে।তার মাঝে কাজ করবে শুধু হতাশা।নিজে ব্যর্থ হওয়ার হতাশা,বাবা-মাকে ব্যর্থ বানানোর হতাশা সর্বোপরি হতাশা আর হতাশা।

আর এমন হতাশা থেকে আমাদের মস্তিষ্কের ভিতর বিকৃতচিন্তা ভর করতে শুরু করে।
যার ফলস্বরূপ ছেলেমেয়েরা সর্বোচ্চ আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে পারেন। তখন এর দায় কারা নিবে?? প্রশাসন নিবে? এছাড়া ছাত্রী ধর্ষনের দায়ে বিচার হওয়ার পরেও এরকম বড় শাস্তি হইছে কি??? এছাড়া প্রশাসন আগে থেকে কোনো সতর্কতা ছাড়াই এত বড় শাস্তি কিভাবে দেয়?

আমরা চাই প্রথমবারের মত আমাদের ভাইবোনদেরকে ক্ষমা করে সকলকেই সতর্ক করা হোক। পরবর্তীতে যদি আর কেউ র‍্যাগিং এ শিকার হয় তাহলে এর দায়ে যেসব শিক্ষার্থীদেরকে যেই বিচারে আওতায় আনবেন আমরা সেটা মেনে নিতে বাধ্য হবো।


চেনা হোক প্রতিটি মুখ,শিক্ষার আয়না।

No comments

Powered by Blogger.