Science Therapy

গল্প হোক প্রেরণা...

সম্মুখে অগ্রসর…
নাবিলা  তার বাবাকে সাথে নিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করছিলো। কিছুক্ষণ পর আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেলো এবং তুমুল ঝড় শুরু হলো। নাবিলা ভয় পেয়ে বাবাকে জিজ্ঞাসা করলো, ‘বাবা কি করবো!’ পাশের সিট থেকে বাবা নাবিলাকে সাহস যোগালেন, ‘তুমি ড্রাইভ করতে থাকো। থেমো না।’ নাবিলা  গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগলো, কিন্তু ঝড়ের প্রচন্ডতা আরো বেড়ে যাওয়াতে গাড়ি ড্রাইভ করা কঠিন হয়ে পড়ছিলো।

কিছুক্ষণ পর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠলো। নাবিলা আবারো তার বাবার কাছে জানতে চাইলো থামবে কিনা। বাবা আগের মতই ড্রাইভ করতে বললেন। কিছুদূর ড্রাইভ করার পরে নাবিলা  লক্ষ্য করলো তার পথের কিছু সামনে বড় একটি ট্রাক রাস্তার পাশে সাইড করে থেমে যাচ্ছে।

তার সামনে আরো কিছু গাড়ি রাস্তার একপাশে পার্ক করে থেমে আছে। দৃশ্যটি দেখে নাবিলা তার বাবাকে বললো, বাবা এবার আমাদের থামতেই হবে। আশেপাশের সবাই দেখো গাড়ি ড্রাইভ করা বন্ধ করে পথের পাশে থেমে যাচ্ছে। কিন্তু বাবা সেই আগের মতই তার সিদ্ধান্তে অটল। হাল ছেড়োনা। তুমি ড্রাইভ করতে থাকো।
বাবার কথা শুনে নাবিলা সাহস পেলো এবং প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যেও আস্তে আস্তে সামনের দিকে আগাতে লাগলো।
এভাবে কয়েক মাইল যাবার পরে নাবিলা  আবিষ্কার করলো, ঝড় থেমে গেছে এবং সূর্য্য উঠে গেছে। এবার বাবা বললেন, এবার গাড়ি থামিয়ে বাইরে বেরোতে পারো। নাবিলা  অবাক হয়ে বাবাকে জিজ্ঞাসা করলো, ‘এখন কেন বলছো?’ বাবা বললেন, ‘এখন এজন্যই বের হতে বলছি যাতে তুমি পেছনের দিকে তাকাতে পারো এবং সেই সব মানুষদের দেখতে পারো যারা হাল ছেড়ে দিয়েছিলো এবং থেমে গিয়েছিলো। ওরা এখনো ঝড়ের মধ্যেই আছে। কিন্তু তুমি হাল ছাড়োনি এবং থেমে যাওনি, তাই তোমার  ঝড় এখন শেষ, তাই তোমার সম্মুখে এখন ঝলমলে সূর্য্য!’

সারকথন:
আসলে জীবনের রাস্তা রেসিং ড্রাইভের মত মসৃণ নয়। জীবনের পথ বড় বন্ধুর। চলার পথে নানা ধরণের ঝড় বা বাধা-বিপত্তিই আসবেই, কিন্তু তাতে থেমে থাকলে ক্ষতির পরিমাণই শুধু বাড়বে। কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে আশেপাশের মানুষগুলো কিংবা সবচেয়ে কঠিন লোকটিও হাল ছেড়ে দিয়েছে বলেই যে আপনাকেও হাল ছাড়তে হবে এমন নয়। পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন, ধীরে-ধীরে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকুন। অবশ্যই দেখবেন সাফল্যের ঝলমলে সূর্য্যটা আবারো আপনার মাথার উপর হেসে উঠবে।

No comments

Powered by Blogger.