রাক্ষুসী গল্পে রাক্ষুসী চরিত্র....
যুবকদের কাঁচা বুকে ঘুন ধরিয়ে দেওয়া বাগধী বাড়ির ঢ্যাঙ্গা সুন্দরী মালতি, স্বভাব দোষে যে স্বামীর ঘর করতে পারেনি, তার ছলাকলায় মজলো ভোলানাথ।বিন্দি ভোলানাথের পায়ে ধরে শেষবারের মতো বোঝানোর চেষ্টা করলো যে, সে কতো বড় ভুল করছে। কিš‘ ভোলানাথ বিন্দিকে মেরে কেটে চলে গেলো।
ভোলানাথ ক্রমেই নরকের দিকে যেতে লাগলো। নিজের দেবতাকে নরকে যেতে দেওয়া যায় না। বিন্দি তাকে না ফেরালে কে ফেরাবে? সে প্রতিজ্ঞা করলো। শোধ নেবে। তবেই না তার নাম বিন্দি।
ভোলানাথকে শেষ করে ফেললে তার আর কোনো পাপ থাকবে না। উপরš‘ তার সমস্ত পাপের বোঝা মাথায় তুলে নেবে বিন্দি। পরিকল্পনানুযায়ী বিন্দি ধারালো দা-য়ের কোপে শেষ করে দিলো নিজের স্বামীকে। ৭ বছরের জেল হলো বিন্দির।
সেবার ভারত সরকার কয়েদিদের বিশেষ খালাস দিলে বিন্দিও তাদের সাথে ছাড়া পেয়ে যায়। স্বামীর স্মৃতি বুকে নিয়ে বাড়ি ফেরে সে। কিš‘ তাকে দেখে সবাই ভয় পেতে শুর“ করে। সবাই তাকে বলে রাক্ষুসী। সে সহ্য করতে পারে না।
বিন্দি প্রশ্ন তোলে, সে কেনো রাক্ষুসী হবে? বরং পাপের হাত থেকে নিজের স্বামীকে বাঁচিয়ে সে তো ভালো কাজটিই করেছে…
No comments